চেয়ারম্যান/প্রতিষ্ঠাতার বাণী
চেয়ারম্যান/প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়ের বাণী বিস্তারিত
 
                                                                     আব্দুর রাজ্জাক
প্রতিষ্ঠাতা  
 আব্দুর রাজ্জাক স্কুল অ্যান্ড কলেজ
                                  
                                    
                                     Message of the President
                                   
                                 
                               
                             Message of the President
আব্দুর রাজ্জাক আলোকিত মানুষ গড়ার নেপথ্যের কুশলী কারিগর।দেশপ্রেম, মুক্তচিন্তা, সেবামূলক কর্মকান্ডসহ শিক্ষিত সমাজ গঠনে নান্দনিক ব্যক্তি হিসেবে যাকে অভিহিত করা যেতে পারে অনায়াসে। সাধকের তকমা লাগানো লালনের কুষ্টিয়ার মানুষ তিনি। দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন।
কুষ্টিয়ার মাটি নানা সময়ে জন্ম দিয়েছে অনেক সাধক-পুরুষের। আব্দুর রাজ্জাক এ সময়কালের শিক্ষার আলো জ্বালানো প্রত্যয়ী সাধক পুরুষ। আব্দুর রাজ্জাক সরকারি কর্মকর্তা বাবার সন্তান। পিতা আব্দুল মোত্তালিব থানা কৃষি কর্মকর্তা ছিলেন। মানুষের সেবা করার জন্যে, শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলার জন্য, অসচ্ছল মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য ব্যবসাকেই তিনি শ্রেয় মনে করেছেন এবং পেশাগত জীবনে ব্যবসাকেই গ্রহণ করেছেন।
মানুষের কর্মটিই আসল কর্মের ভেতরই পূর্ণতা কর্মের ভেতরই বেঁচে থাকা কর্মের ভেতরই। দেশপ্রেম স্বত্বটি ধারণ করেই তিনি ব্যক্তি মানুষ সকল মানুষের হয়ে ওঠার লক্ষ্যে কাজ করেন, যা অভিহিত হতে পারে মানবসাধন হিসেবে। এই মানবসাধনই তাঁর জীবনের ব্রত। আর এ লক্ষ্যেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন 'আরমা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি'। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৩ সাল থেকে। এ প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমেই  পরিচালিত হচ্ছে সেবা ও শিক্ষামূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও নানামুখী সেবামূলক কর্মকান্ড।
শিক্ষানুরাগী আব্দুর রাজ্জাক নিজের আবাস্থল ঢাকার বনশ্রীতে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেছেন 'আব্দুর রাজ্জাক স্কুল অ্যান্ড কলেজ'। কোমলমতি সোনামনিদের কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠলেও এর কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে যেমন বিস্তৃতি ঘটেছে,তেমনি এটি এখন কিশোর তরুণ শিক্ষার্থীদেরও প্রিয় প্রতিষ্ঠান। আধুনিক ও সময়োপযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি এখন সুপরিচিত। মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষকেরা যেখানে আন্তরিকভাবে পাঠ্য বিষয় ছাড়াও শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতিমনা করে গড়ে তোলেন শিক্ষার্থীদের।
বনশ্রী ছাড়াও কুষ্টিয়া,রাজশাহী ও দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তিনি আরমা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রত্যয় ও দৃঢ়তার আলো জ্বালানোর লক্ষ্যে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এবং পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সম্পূর্ণ ব্যক্তিদ্যোগে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বৃত্তি প্রদান ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা করেন। প্রতি বছর এ সোসাইটির মাধ্যমে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় ২৫০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে আব্দুর রাজ্জাক মেধা বৃত্তি' প্রদান করা হয়। এছাড়া তাঁর নিজ জেলার দৌলতপুর উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আব্দুর রাজ্জাক মৎস্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট।স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও আরমা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বিশেষ অবদান রাখছে।দিনাজপুরের অরবিন্দ শিশু হাসপাতালে মা ও শিশুর সাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে 'আব্দুর রাজ্জাক জেনারেল ওয়ার্ড' ও বহির্বিভাগ।
অসহায় ও অসচ্ছল পরিবারগুলোর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যেন অবিচ্ছেদ্য। তাঁর নিজ এলাকার অস্বচ্ছল অসহায় মানুষদের পাশে সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে,তাঁদেরকে করে নিয়েছে পরম এক আপনজন। কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ নির্মানসহ পরিচালনার ক্ষেত্রেও তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক তাঁর বিভিন্ন কর্মের ভেতর দিয়ে মানুষের জীবন ও কল্ল্যানসারথী হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন এখানেই তিনি অনন্য এক ব্যক্তিত্ব।
অধ্যাপক ড. রকিবুল হাসান
ডীন,বাংলা বিভাগ
নর্দান ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ
 
                 
                        
         Application Form
 Application Form 
                 
               